আখরোট
আখরোট একপ্রকার বাদাম জাতীয় ফল। এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি আসিড আছে। আখরোটে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে।
সুস্বাদু এই খাবারে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ আপনাকে রক্ষা করে নানা ধরনের ব্যাধি থেকে।
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
আখরোটে ওমেগা থ্রি ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবারের যথাযথ ভারসাম্য থাকে। ফলে যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং-এর পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আখরোটকে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করুন।
২. নিদ্রাহীনতা কমায়:
আখরোটে মেলাটোনিন বলে একটি উপাদান থাকে। এই মেলাটোনিন ঘুমের পক্ষে ভাল। ফলে যাঁরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত আখরোট খেলে উপকার পাবেন।
৩. চুলের পক্ষে ভাল:
আখরোটে থাকে ভিটামিন বি সেভেন। এই ভিটামিন চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া কমায়, এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৪. হার্টের রোগ দূরে রাখে:
আখরোটের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে খারাপ (ব্যাড) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল (গুড) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে হার্টের রোগের সম্ভাবনা কমে।
৫. ত্বকের উজ্জলতা বজায় রাখে:
আখরোট বি-ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই আখরোট আপনার ত্বকে চট করে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে।
৬. স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে:
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক স্থিরতা আসে।
৭. পুরুষদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সি পুরুষরা যদি দৈনিক ৭৫ গ্রাম করে আখরোট খান, তাহলে তাঁদের শুক্র উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও শুক্র কোষের স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটে।
আখরোট শরীরের পক্ষে এতটাই উপকারী যে প্রায় তাৎক্ষণিক ভাবে এর সুফল শরীরে লক্ষ করা যায়। পেনসেলভেনিয়ার পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. পেনি ক্রিস এটারটন জানাচ্ছেন, কেউ যদি মাত্র ৫টি আখরোট খান তাহলে ৪ ঘন্টার মধ্যে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আসে। অর্থাৎ তাঁর শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় আর গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। পরিণামে অনেকখানি কমে যায় হার্টের অসুখের সম্ভাবনা। এটা ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমণিত সত্য।
LEAVE A COMMENT